বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী স্মৃতি নাথ সীমাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনের মধ্যে আটজনের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামিকে দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, পলাতকদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এএসএম শফিকুল ইসলাম কাজল ও মো. হাফিজুর রহমান খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারহানা আফরোজ ও শামসুন নাহার লাইজু, শোভানা বানু ও ফারহানা আফরোজ রৌজা।
২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার এ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলছাত্রীর পরিবারকে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এছাড়া কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট আসামি হিরণ, নুর নবী, নুর আলম, হেদায়েত উল্যা হেদু, সাদ্দাম (পলাতক), সুমন(পলাতক), রাশেদ (পলাতক) ও মানিককে (পলাতক) দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। বাকি দুজন আনোয়ার ও সোহেলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় সীমা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
২০১২ সালের ১৮ জুলাই রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষ্ণ লাল দেবনাথের বাড়িতে একদল ডাকাত ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
পরে ঘরের একটি কক্ষে স্কুলছাত্রী সীমাকে ধর্ষণ করে বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সীমাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন সীমার দাদা কৃষ্ণলাল দেবনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৫ মে মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এসএস